Boris Johnson

বরিস জনসন একজন প্রখ্যাত ইংরেজি রাজনীতিবিদ যিনি ২০১৯ থেকে ২০২২ সালে ইউকের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর নেতৃত্ব দিয়ে চরমভাবে পরিচিত। তিনি ১৯৬৪ সালের ১৯ জুনে নিউইয়র্ক সিটিতে জন্মগ্রহণ করে একজন ব্রিটিশ পেশাদার পরিবারের ছেলে।

জনসন রাজনীতির জগতে একটি পরিচিত ব্যক্তি, কিন্তু তিনি লন্ডনের মেয়র হিসেবে এবং সংসদের একজন সদস্য থাকার কর্তব্য পালন নিয়েও পরিচিত।

জনসন ব্রিটিশ কনসার্ভেটিভ পার্টির সদস্য এবং বহু বছর ধরে এই দলে প্রতিষ্ঠিত আবাজ হিসেবে পরিচিত। তিনি ঈটন কলেজের শিক্ষা পান, যেখানে তিনি একজন কিংস স্কলার ছিলেন। উচ্চশিক্ষার পর তিনি সাংবাদিক হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন এবং সময়ও বিতাল করেন 'দি টাইমস' এবং 'দি ডেইলি টেলিগ্রাফ' এর সম্পাদক হিসেবের কাজ করেন।

জনসন সংসদে এসেছিলেন হেনলি এলাকার একজন সদস্য হিসেবে ২০০১ সালে। তাঁর প্রজন্মে অনেক সাফল্য এবং বিতর্ক ছিল। লন্ডনের মেয়র হিসেবে, তিনি বার্কলেস সাইকেল হিয়ারিং পদ্ধতিকে সমর্থন দেন এবং পাবলিক ট্রান্সপোর্টে শরাব ব্যবহার নিষিদ্ধ করেন। তিনি ব্রেক্সিটের জন্য একজন সর্বাধিক কথা বলার সমর্থক, যা জনগণ এবং রাজনৈতিক জগতে উভয়ই সমর্থন এবং আলোচনা করে।

তাঁর রাজনৈতিক সাফল্যগুলির প্রতিফল হিসেবে জনসনের ব্যক্তিগত জীবনটি একাধিক স্ক্যান্ডালের মাধ্যমে চরমভাবে কাঁটাছিল। তিনি ১৯৯৩ সালে তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী মারিনা উইলারকে বিবাহ করেন এবং তাঁরা একসাথে পাঁচটি শিশুকে পালন করেন। তবে পরে প্রকাশ হল যে জনসন অনেকগুলি বিয়ের বাইরে চরম অসামান্যে ভুগছেন যা তাঁর বিবাহ ভেঙ্গে পড়ে। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি ক্যারি সেমন্ডস সঙ্গে একটি আবাসনে নিবন্ধিত ঘোষণা করেন এবং দুই মাস পরে তাঁদের ছেলে উইলফ্রেড জন্ম নিয়েছেন। ২০২১ সালের মে মাসে জনসন এবং সিমন্ডস বিয়ে করেন এবং তারপর সেখানে একটি কন্যা জন্ম নিলেন।

জনসন তাঁর প্রতিভাদর ব্যক্তিত্বের জন্য চরমভাবে পরিচিত, যা অনেকের মধ্যে তাঁকে 'দার্শনিক উইট' বলতে হয়। তিনি দ্রুত তাঁর মন্তব্য এবং জোকস দিয়ে যথাসম্ভব বেফাস্টি ও জনসাধারণের হৃদয় জয় পেতে হবার জন্য পরিচিত। উনার রাজনৈতিক মতামত তাঁর বড়পর্দার জন্য আবিষ্কৃত হয়েছে, এবং তিনি ন্যায়বাদী সঙ্গতিতে দুর্দান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার পথে দলবদ্ধ।

একজন প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ হিসেবে না হওয়া আগে জনসনকে বিভিন্ন ঝামেলার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। তিনি শিশুদের সময় ডিসলেক্সিয়া সম্মুখীন ছিল যা শিক্ষালাভে আবারো তাঁর জীবনটি কঠিন করে। তবে তাঁর পরিবার এবং শিক্ষক তাঁর স্বপ্নগুলি অনুপ্রাণিত করে এবং তিনি পরে তাঁর অধ্যয়নে বিশেষ সাফল্য লাভ করেন। তিনি রাজনীতি ও সাংবাদিকতার জগতে নানান প্রভু সঙ্গে কাজ করেছেন, যেমন প্রার্বেষ্য প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। তিনি অন্যান্য রাজনীতিবিদর সাথে ভিন্নমতে আছেন, যেমন পূর্ব লন্ডন মেয়র কেন লিভিংস্টন। তবে প্রতিকূল গোষ্ঠির মধ্যেও এক জনসন একটি জনপ্রিয় বৈজ্ঞানিক, বিষ্ময়কর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য পরিচিত।