Lang Lang

লাং লাং: সঙ্গীত মাধ্যমে মিলনের একটি সেতু

লাং লাং হলেন একজন চীনার পিয়ানো শিল্পী যিনি তার সঙ্গীত দক্ষতা ও উদ্যমের ক্ষেত্রে বিশ্বজগতে প্রশংসা নিয়েছেন। তিনি ১৪ জুন, ১৯৮২ সালে চীনের শেনয়াং শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা, লাং গুওরেন, একজন এরহু শিল্পী এবং তার মা, জৌ শিউলান, একজন নার্স। লাং লাংের শিশুবাবস্থায় সঙ্গীতকে তিনি আকর্ষিত হয়েছিলেন এবং পিয়ানো বাজার উদ্বোধন করার উপক্রমে তিনি মহান শিল্পী হতে চায়। তিনি তিন বছর বয়সে পিয়ানো শেখার শুরু করেন এবং দ্রুত উপকৃত দক্ষতা এবং সঙ্গীতপ্রেম প্রদর্শন করেন। লক্ষ্য করা যায় যে লাং লাংের শিশুবাবস্থায় বহুল প্রতিভা হলেও তার পিয়ানো শিক্ষক মনে করেন যে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের জন্য প্রাকৃত প্রতিভা নেই।

তবে, লাং লাং মিউজিক এদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার নিশ্চয়তা রचিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি অবিরত ভাবে কাজ করে এবং পুরস্কার জিতার পথ ভেঙ্গে পেশাগতভাবে চরমে পৌঁছেছেন। ১৫ বছর বয়সে তিনি যুক্তরাষ্ট্রীয় চাইকোভস্কি যুব সঙ্গীতশিল্পী প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার জিতে নিজেকে একজন আন্তর্জাতিক সঙ্গীতবিশ্বের বৃদ্ধি করতে নিশ্চিত করে দিয়েছেন।

লাং লাংের অধিকারগ্রস্তি আরও আরবোধ হয় এবং তিনি চীনের সংস্কৃতি দূত হয়ে ওঠেন। তিনি মনে করেন যে সঙ্গীত মানুষকে সংযোগ করার ক্ষমতা রয়েছে এবং তিনি আত্মবিশ্বাসের সাথে বিশ্বব্যাপী স্টেজে দেশ ও সংস্কৃতি মধ্যে সেতু নির্মাণ করে থাকেন। লাং লাংের আন্তর্জাতিক পরিবেশনা অন্য মহান শিল্পী এবং ডিরেক্টরের সাথে বিয়ে যুক্তাযুক্ত অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হয়। এছাড়াও, লাং লাংের সাবলীল স্টেজ উপস্থিতি, সুষ্ঠু কাজক্ষমতা এবং পাঠকের সাথে যোগাযোগ নিজেকে শিল্পীদের পক্ষে নির্দিষ্ট উপস্থাপনার ক্ষেত্রে নির্বিশেষে স্থাপন করে দিয়েছেন। লাং লাং কার্নেগি হল, বার্লিন ফিলহারমোনিক এবং ভিয়েনা মিউজিকভিন সহ সেরা সঙ্গীত ভবনে অভিনয় করে আসেন।

লাং লাং বাস্তব এবং মঞ্চ উভয় দিকেই দৃঢ় এবং সক্ষম একটি ব্যক্তিত্ব। তিনি সম্মানিত অনেক পুরস্কার ও সুকৃতি অর্জন করেছেন, যেমন দুনিয়ার সবচেয়ে প্রভাবশালী ১০০ জন এমন মানুষকে বলে ফেলা জন্য সময় ম্যাগাজিনের।

লাং লাং বৈশ্বিক শিক্ষা ও শিল্প উন্নয়ন কেন্দ্রকে লক্ষ্য করে চীনা জাতির প্রথম সমচার দূত হিসেবে নিয়মিত ব্যবহার করেন। তিনি লাং লাং ইন্টারন্যাশনাল মিউজিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছেন, যা শিশুদের সিদ্ধান্তগ্রহণ করতে এবং সকলের জন্য সঙ্গীত শিক্ষা উপলভ্য করার লক্ষ্য রয়েছে।

লাং লাং জুন ২০১৯ সালে জার্মান-কোরিয়ান পিয়ানিস্ট জিনা এলিস রেডলিংয়ের সাথে বিয়ে করেন এবং ২০২০ সালে তারা একটি মেয়ে বয়স্ক হয়ে হয়েছেন, নাম অ্যাবিগেইল লাং।

লাং লাং সঙ্গীত উদ্যোগ একটি মানবিক জায়গায় শিল্পী প্রতিষ্ঠানের প্রথম দিকে একটি উদাহরণ হিসাবে পরিচিত এবং তিনি তাঁর অসামান্য দক্ষতা এবং সুরক্ষা শিল্পের মাধ্যমে সমস্ত দুনিয়ার মানুষের মধ্যে মিলন সৃষ্টি করছেন।